– চীনে করোনা সমস্যা দেখা দেবার সাথে সাথেই আরব আমিরাত নড়ে চড়ে বসে।
– এদেশে প্রতিদিন সারা দুনিয়া থেকে লাখ লাখ পর্যটক আসে।
– দুবাইয়ের একটি বিখ্যাত শপিং সেন্টার ‘ড্রাগন মার্ট’ শতভাগ চায়নার দ্বারা পরিচালিত।
– তাই এদেশের সর্বত্রই চায়নাদের বিচরণ দেখা যায়।
প্রথম ধাপ
– সরকার প্রথমেই মানুষদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করে।
– মসজিদে-মক্তবে ঈমামদের দ্বারা লিখিত আপডেট দিতে থাকে।
– মসজিদ সমূহে স্যনিটাইজারের ব্যবস্থা ও টিস্যুর পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়।
– যত্র-তত্র হাঁছি না দেওয়া, হ্যান্ডস্যাক না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
– স্কুল গুলোকে ছাত্রদেরকে এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হয়।
– স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষয়িত্রীদের যথাযথ ভূমিকা পালনের নির্দেশ প্রদান করা হয়।
– স্কুলের ছুটিতে শিক্ষকদের ছুটি নাই, তাদেরকে অনলাইনে ছাত্রদের পাঠদানের নির্দেশ জারি করা হয়।
দ্বিতীয় ধাপ
– করোনা রোগীর তালাশে সারা দেশে সতর্কতা জারী করা হয়
– একটি এলাকায় একজন করোনা রোগীর সম্ভাব্য উপস্থিতি চোখে পড়ে
– আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পরদিনই সে এলাকা ঘিরে ফেলে এবং রোগীকে উদ্ধার করে
– আরেকটি ভবনে এ ধরনের একটি রোগীর সম্ভাবনা পায়
– পুরো ভবন ঘিরে সকল মানুষ থেকে সে রোগীকে আলাদা করা হয়
– প্রতিটি হাসপাতালকে কঠোর নজরদারী ও নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়।
– স্কুলে পড়ুয়া এক ছাত্রের অভিভাবকের কাছে করোনা ধরা পড়ে।
– পরদিনই সারা দেশের স্কুল-কলেজ গুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
তৃতীয় ধাপ
– শপিং মল ও পার্ক গুলোতে অপ্রয়োজনীয় আনাগোনা নিরুৎসাহিত করা হয়
– সাথে সাথে শপিং মলে আসা প্রতিটি ব্যক্তিকে চেক করার ব্যবস্থা করা হয়
– প্রত্যেকের কর্মক্ষেত্রে সতর্কতা মূলক বিজ্ঞপ্তি জারী করা হয়
– তিন জন মানুষও যাতে একত্রে না চলে হুশিয়ার করে দেওয়া হয়।
– মসজিদ সমূহে সংক্ষিপ্ত পরিসরে জামায়াত শেষ করার অনুরোধ করা হয়
– সুন্নাত, নফল সালাত ঘরে পরার পরামর্শ দেওয়া হয়
– দশ মিনিটের মধ্যে পুরো জুমার জামাত শেষ করার প্রচারণা চালানো হয়
চতুর্থ ধাপ
– সরকার ঘোষণা দিয়েছে কেউ যাতে দুঃচিন্তাগ্রস্ত না হয়, মানুষকে আস্বস্ত করেছে
– যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য, ঔষধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম মজুদের ঘোষণা দেয় হয়।
– চিকিৎসা সেবায় সর্বোচ্চ আন্তরিকতা চিকিৎসক নার্স-গন দিয়ে যাচ্ছে।
– এক মাসের জন্য মসজিদে নামাজ না পড়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
– অবশেষে এয়ারপোর্ট বন্ধ করে দিয়েছে।
উপসংহার
এটা এমন একটা দেশ যেখানে নিজের দেশের সম্মিলিত জনগণের চেয়ে বাহিরের মানুষ বেশী। এই শহরে যতই হাটা হয় শুধু বহির্বিশ্বের মানুষই নজরে আসে। তারপরও সরকার যতটুকু আন্তরিক তা অতুলনীয়। করোনা নিয়ে প্রতিটি দেশের সমস্যার উপর নজর রাখি, সে হিসেবে দেখেছি আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তগুলো সবচেয়ে আন্তরিক, দূরদর্শী ও কার্যকর। তাই এত পর্যটকের দেশে এখনও একজন মানুষও মারা যায়নি।
এখানে কেউ মারা গেলেও মনে এই সান্ত্বনা পাবে যে, তকদিরের ফায়সালা হয়েছিল তাই মরেছি কিন্তু সরকারের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি ছিলনা। কিন্তু ভয় হয় আমাদের দেশের পরিস্থিতি নিয়ে। মানুষের ঘৃণা অর্জন করেও রাজনীতির বাগাড়ম্বতার মধ্যে বেঁচে থাকতে চায়। এই খাসিয়তে মহা-পতন ডেকে আনে। কে আওয়ামীলীগ, কে জামায়াত, কে বিএনপি, কে বিদেশী, কে স্বদেশী, কে সুন্নি, কে ওয়াহাবী, কে হিন্দু, কে মুসলিম, কে মন্ত্রী, কে তোয়াঙ্গর করোনার ছোবল কাউকে বিন্দুমাত্র করুণা করবে না।
Discussion about this post