পেটে ভয়ংকর খিদে নিয়ে মানুষের শেষবারের উত্থান হবে বড় অসহায় অবস্থায়। একটি পদক্ষেপ সামনে বাড়াতেও মানুষ বড় দুর্বল হয়ে উঠবে। দুনিয়ার জীবনে যে যত বেশী পেট ভরে খেতে পেরেছিল, সেদিন তাদের খিদের অনুভূতি হবে, আনুপাতিক হারে ততোধিক বেশী। তামার পাতের ন্যায় উত্তপ্ত হবে ভূমি, চারিদিক থেকে ঘিরে ধরবে প্রচণ্ড গরমের তাপ-দাহ। ফলে মানুষের চিত্তে দ্বিতীয় ভয়ঙ্করতম আঘাতটি আসবে পিপাসার! গরমের ধরনটাই এমন হবে, খিদের দুর্বলতার চাইতেও মানুষ পিপাসা নিবারণ করাটাকে অগ্রাধিকার দিতে চাইবে। কিন্তু কিছুরই ন্যুনতম কোন চাহিদা মেটার কোন সুযোগ সেখানে রাখা হবেনা। প্রতিটি নিঃশ্বাসের প্রথমটির চেয়ে দ্বিতীয়টি হবে আরো কষ্ট ও যন্ত্রণার। চলুন সূর্যের কাছাকাছি
আরো পড়ুন…
- পাটের চমকপ্রদ ব্যবহার
- দূরদৃষ্টি Prudence অর্জনের গুরুত্ব
- অন্যের লিখা বই পড়ব কেন?
বাদশাহ-আমির, কাঙ্গাল-ফকির সবাইকে এক সাথে উলঙ্গ অবস্থায় হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে এক ময়দানে। যেখানে বসানো হবে প্রকাশ্যে উন্মুক্ত আদালত। সবার কর্মকাণ্ড সেদিন প্রকাশ্যে টিভি পর্দায় ভাসানো হবে! দুনিয়ার সম্মানীরা মাথা ও মুখ নিচু করে রাখবে। একান্তে নিভৃতে পিতা-মাতা কে কি করেছিল সন্তানেরা তা দেখার সুযোগ পাবে। খিদের যন্ত্রণায়, নিদারুণ পিপাসায় দুর্বল দেহে বড় অনিচ্ছা স্বত্বেও সবাইকে পৌছতে হবে সে ময়দানে, যে ময়দানের নাম হল “হাশর”। অবসাদ, হতাশা, ভীতি ও অনিশ্চয়তা মানুষকে দিশেহারা করে ফেলবে। এই অবস্থাতেই সবাইকে পথ চলতে হবে একান্ত বাধ্য হয়েই।
সেদিন কোন সাহায্যকারী থাকবে না, কেউ প্রশ্ন করবে না, কারো আপত্তি-আবদারের বালাই থাকবে না। অপেক্ষা করা যাবেনা, চলার পথে থামা যাবেনা। দুনিয়ার মাটিতে দাম্ভিকতা আর উপেক্ষাকারী মানুষদের সাথে কঠোর ও রূঢ় আচরণ করার জন্য রাখা হবে নির্দয় হৃদয়ের প্রহরী (ফেরেশতা)। যাদের আচরণে ক্ষণে ক্ষণে নির্দয়তার প্রভাব পরিস্ফুটিত হবে। দুনিয়ার মাটিতে বুক ফুলিয়ে পদচারণ-কারী জননেতা, প্রশাসক ও শাসকের উপর নজর পড়ামাত্রই এসব প্রহরীর ক্রোধ ও জিঘাংসার মাত্রা মুহূর্তেই বহুগুণেই বেড়ে যাবে। এভাবেই হাঁকিয়ে মানুষদের জড়ো করা হবে যে ময়দানে, তার দূরত্ব হবে কম পক্ষে পঞ্চাশ হাজার বছরের দূরত্বের সমান!
বিষয়টিকে অকল্পনীয় ভাবছেন? মোটেও না!
আমরা যার আলো ও তাপ নিয়ে জগত সংসারে বেঁচে আছি, সেই সূর্যের দূরত্ব আমাদের স্থান থেকে প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার! সূর্য নিভে গেলে সৌর জগত ধ্বংস হবে। পৃথিবী মুহূর্তেই নিঃশেষ হয়ে যাবে। সমুদয় প্রাণ নিস্তেজ হয়ে যাবে। আমাদের আপন এই নক্ষত্রের আয়তন মাঝারীর চেয়েও ছোট। বড়দের সংখ্যাই লাখো লাখো কোটির চেয়েও অনেক। দুনিয়ার জীবনে আমাদের যদি বাধ্য করা হতো, পায়ে হেঁটে সূর্যের কাছে যাও। দুনিয়ার হিসেবেও মানুষকে সূর্যের কাছাকাছি হতে পঞ্চাশ হাজার বছরেও সম্ভব হবে না।
দুনিয়াতে কেউ একাজে বাধ্য না করলেও প্রতিটি মানুষকে এ ধরনের একটি যাত্রায় অংশ নিতেই হবে। এই মহাযাত্রার প্রস্তুতি ও করণীয় কি, মানুষ এ বিষয়ে খুব কমই চিন্তা করে! চলুন সূর্যের কাছাকাছি
Discussion about this post