অহিংসা পরম ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্মের মূলনীতি; প্রাণী হত্যা বৌদ্ধ ধর্মে নিষিদ্ধ। সেই বৌদ্ধ ধর্মে নারী সম্পর্কে বলা হয়েছে: নারীর প্রতি দৃষ্টি দেয়া মানবীয় পবিত্রতার পরিপন্থী। নারীর সাথে কোনরূপ মেলামেশা বা অনুরাগ রেখো না। পুরুষের জন্য নারী ভয়ঙ্কর বিপদ স্বরূপ তাই তাদের সাথে কোন কথা বলো না।
নারী তার মনোহর কমনীয় ভঙ্গিদ্বারা পুরুষের বিশ্বাস নামক সম্পদ লুটে নেয়, নারী একটা ছলনা, তার থেকে আত্মরক্ষা করো। নারীদের পুণ্য জ্ঞান নাই, প্রকৃতিগত ভাবে সকল নারীই হল বেশ্যা চরিত্রের! নারীরা পঙ্গু দেখিলেও রতি-কর্ম করতে ইচ্ছুক হয়ে পড়ে। সে জন্য তারা বিশ্বাস অযোগ্য। বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান প্রচারক মহান গৌতম বুদ্ধ নিজেও স্ত্রীকে ত্যাগ করে, সংসার জীবন বিসর্জন দিয়ে দেশান্তরী হয়ে পড়েন!
বৌদ্ধ ধর্মের পুরুষদের, নারী সম্পর্কে সতর্ক করে বলা হয়েছে যে, ‘ষাঁড়, গাভী, বাহন আর নারী কারো হেফাজতে রাখার যোগ্য নয়’। এতে তারা পাপে লিপ্ত হবেই, নারীর আত্মা দিব্য জ্ঞান শূন্য। তারা মলের মাছির ন্যায়। মলের ঘ্রাণ পেলে হিতাহিত মাছি যেভাবে মলভাণ্ডারে ঝাঁপিয়ে পড়ে; নারীরা ও পুরুষের সান্নিধ্য পেলে মায়া আর কাম ভাব নিয়ে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে পুরুষের জীবনে সেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে!
নারীর সাহচর্য্যে সংসারের জালে আবদ্ধ হলে পুরুষ নির্বাণ লাভে ব্যর্থ হবেই! নারীর সাথে বসবাস করার চেয়ে; বাঘের মুখে খাদ্য হওয়া কিংবা ঘাতকের তরবারির নিচে মাথা পেতে দেওয়া অনেক উত্তম! নারীদের হেয়, হীন, তুচ্ছ ও ঘৃণিত করার জন্য, বৌদ্ধ ধর্মে হেন বাক্য বাকি নাই, যা ব্যবহার করা হয় নাই!
Discussion about this post