প্রতিবেশী হিসেবে আমি কেমন এই বিচার কি কখনও করা হয়েছে? পৃথিবীতে বেশীর ভাগ মানুষ অন্যকে উপদেশ খয়রাত করতে পারঙ্গম কিন্তু আমি মানুষ হিসেবে কেমন? বাহিরের মানুষের কাছে আমার গ্রহণযোগ্যতা কেমন? এমন চিন্তা করার মানুষ কম। মানুষ হিসেবে আমরা কেমন
আমার প্রতিবেশীর চরিত্র কেমন হওয়া উচিত, তার দায়িত্ব পালন করা উচিত, তার কি ভূমিকা রাখা উচিত এসব নিয়ে আমরা হর হামেশা ব্যস্ত থাকি কিন্তু নিজেই একজন সু প্রতিবেশী হয়ে উঠতে পেরেছি এই চিন্তাকে দূরে রাখি।
আরো পড়ুন…
- নলের পানি যবে শুকিয়ে যাবে
- চাকুরীর সময়ে সালাতে ফাঁকি
- মানুষ যখন নিজেই শয়তান হয়
আমার ঘরের গানের বিকট স্বরে প্রতিবেশীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে কিনা? আমাদের ঝগড়া-ঝাটি, ভাঙচুরের ঘটনা অন্যের দুঃচিন্তার কারণ হচ্ছে কিনা। নিজের ফ্লোরের পান-সুপারির হামান দিস্তার শব্দ নীচের তলার শিশু সন্তানের সমস্যা হচ্ছে কিনা।
আদরের নাতির উৎপাত নিজের কাছে মজাদার লাগতে পারে কিন্তু অন্যের অস্বস্তির কারণ হচ্ছে কিনা। এসব কি কখনও ভেবে দেখা হয়েছে? সর্বোপরি পাশের প্রতিবেশী নিঃসঙ্কচিত্তে তাদের আপত্তির কথা আমার কাছে তোলার সাহস পায় কিনা?
যদি এসব প্রশ্নের উত্তর না বোধক হয়, তাহলে আমাদের অবয়ব একজন মানুষের মত হলেও, ভিতরে ভিতরে একজন পশু তুল্য অমানুষ।
নিজেকে যতই ভাল মানুষ মনে করি না না কেন, মাহফিলে বসে চোখের পানি যতই খরচ করি, আমাদের নামাজ, আমাদের দামী হজ, প্রচুর দান, মানুষের প্রতি উপকার কোন কাজেই আসবে না। এগুলো সবই পরিত্যক্ত হিসেবে নর্দমায় নিক্ষিপ্ত হবে।
“তাই ভাল উপদেশ দেবার চেয়ে, ফেসবুকে সুন্দর বাক্যের কথামালা পোষ্ট করার চেয়ে, নিজে একজন সুন্দর মানুষ হিসেবে গড়ে উঠা সর্বাধিক জরুরী”
Discussion about this post