কৃত্রিম অবকাঠামোর উপর নির্মিত বাগান। প্রকৃতির ফুল-পাতা দিয়ে গড়া এই বাগান দেখার জন্য লাখে লাখে দর্শনার্থী এখানে ভিড় করে। দুবাই সরকার এই বাগান দেখিয়ে প্রচুর অর্থ কামাই করে। এখানে এলেই বুঝা যায়, ফুল গাছ দিয়ে কত ধরনের অলংকরণ করা যায়। ফুল কত বড় ভালবাসার জিনিষ, কত আনন্দ দেয় এখানে এলেই দর্শনার্থীদের ভিড় দেখলেই বুঝা যায়! হেন কোন বর্ণের ফুল বাকি নাই, যার উপস্থিতি এ বাগানে নেই! ফুল আর গাছ ছাড়া, রাজ প্রসাদের সৌন্দর্য মলিন হয়ে যায়। বিশ্ববিখ্যাত বহু স্থাপনাকে কৃত্রিম ভাবে বানিয়ে, তার গায়ে ফুলের চাদর দিয়ে, সাজানো হয়েছে ভিন্ন ঢংয়ে। যা ভ্রমণ পিয়াসুদের আকৃষ্ট করে। ভয়ঙ্কর গরমের দিনেও, এই ফুলের পাপড়ি গুলোতে সতেজ ও সজীব রাখার জন্য রাখা হয়েছে ভিন্ন মাত্রার যত আয়োজন।
কয়েক কিলোমিটারের বিশাল জায়গা জুড়ে গড়া স্থাপনার নান্দনিক দৃশ্য সত্যিই বিরল! মানুষের কাছে অর্থ থাকলেই হয়না, আর দুনিয়াতে অর্থশালী মানুষের অভাবও নাই। তবে যে অর্থশালী মানুষের সুন্দর মন ও সৌন্দর্য মণ্ডিত কল্পনাশক্তি প্রবল থাকে। তার দ্বারা অনেক উপকার সাধিত হয়। মিরাকল গার্ডেন তার উজ্জ্বল উদাহরণ।
আমাদের দেশ বাংলাদেশ ফুলের দেশ, সবুজ পাতার দেশ। আল্লাহর দেয়া এক অফুরন্ত নেয়ামত রাজি রয়েছে এ দেশের প্রকৃতিতে। আমরা এটার গুরুত্ব বুঝি না। মনে হয় প্রকৃতি প্রেমী জাতি হিসেবে আমরা একটু বেরসিক, তাই এই সম্পদের মূল্য দিতে জানিনা। এক্ষেত্রে আমরা অদক্ষ কিংবা অযোগ্য জাতি নই। পার্বত্য চট্টগ্রামের ভৌগলিক দৃশ্য, জলবায়ুর মূল্য ও গুরুত্ব আমরা তেমন বুঝি না যতটুকু বুঝে স্বাধীনতা হন্তারক শক্তি গুলো। যার ফলে অনেকের কাছে সারা বাংলাদেশের চেয়েও, পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটি ও জলবায়ু নিয়ে আগ্রহ বেশী।
Discussion about this post