রংয়ের তুলির গুরুত্ব একজন সাধারণ মানুষ বুঝে না। একজন চিত্রকর দিনের পর দিন, তার ওস্তাদের নিকট থেকে তুলির জ্ঞান নিতে থাকে। দুই আঙ্গুলের ফাঁকে সেঁটিয়ে, তুলি হাতে নিবিড় মনে প্রাকটিস করতে থাকে একজন শিল্পী। তার কার্যের গতিবিধি কাগজের এক বর্গ ইঞ্চি জায়গার মধ্যে ঘুরপাক খায়। কসরত করতে থাকে, কিভাবে তুলি ঘুরাতে হবে। কোন রংয়ের সাথে, কোন রংয়ের মিশ্রণ, নির্ধারিত কাগজে ফুটে উঠবে। শিল্পীর হাত আর মেধাবীর মন
আরো পড়তে পারেন…
- রাষ্ট্রীয় সম্পদ মেরে ধনী হবার পরিণতি
- প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মূল অন্তরায়
- সেই সাংবাদিকতা গেল কই
এ দক্ষতা অর্জনে একজন শিল্পীকে বহুদিন সময় দিতে হয়। দেখা যায়, একজন তুলি বিশারদ সেরা শিল্পীও কখনও একনিষ্ঠ মনে, এমনভাবে অন্যের তুলির পোঁচ দেখতে থাকে; যেন তিনি নতুন করে অঙ্কনের ক্লাসে ভর্তি হয়েছেন!
একদা ক্ষুদ্র পরিসরের এই শিল্পী সফল সফল হয়। তখনই সে সারা বিশ্ব অঙ্কনের সাহস অর্জন করে।
যার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল কাগজের একটি ক্ষুদ্র স্থানকে কেন্দ্র করে এবং পরবর্তীতে সে বিশ্ব জাহানের মানুষকে তাক লাগানোর মত দক্ষতা অর্জন করে। শিল্পীর হাত আর মেধাবীর মন
মূলত, বিদ্যা আর শিক্ষা দুটোই মগজে লুকিয়ে থাকে। তার প্রকাশ ঘটে হাত, পা ও মুখের মাধ্যমে। দুনিয়াতে যে যত বড় জ্ঞানীই হউন না কেন, স্তূপাকারে সনদ কিংবা দুনিয়ার সেরা বিদ্যাপীঠের ডিগ্রী থাকুক না কেন; কোনটাই কাজে আসবে না, যতক্ষণ না নিজের হাত দুটোকে কাজে লাগানো না হয়।
শিল্পের ধারণা হাতের মাধ্যমেই বাস্তবতা পায়। হাত বিহীন মেধা অকার্যকর হয়ে পড়ে। আবার নিজের হাতকে কাজে লাগানোর আগে, কারো অধীনস্থ হয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হয়। শুধুমাত্র বই পড়েই কেউ কাজ শুরু করতে পারে না।
“মানুষ এমন এক আজিব সৃষ্টি, তাকে কারো অধীনে থাকতে হয়, সেও আবার কাউকে নিজের অধীনস্থ করে। এই দুটো চরিত্রকে আত্মস্থ করতে পারলে, সে সফলকাম হয়।
দুটোর মাত্র একটি চরিত্র প্রভাব বিস্তার করলে, সে আর সামনে আগাতে পারে না, তাকে থেমে থাকতে হয়। দুটো চরিত্রের একটিও না থাকলে, সে আর মানুষের মধ্যে থাকেনা, তাকে থামাতে হয়।” শিল্পীর হাত আর মেধাবীর মন
Discussion about this post