ফসকা গেড়ো এমন সহজ যা একজন আনাড়ি মানুষও দিতে পারে। কিন্তু এটা কখনও এমন কড়া ফাঁদে রূপান্তরিত হয় যা অকল্পনীয়। নামে ফসকা গেড়ো হলেও, এমন গেড়ো দিয়েই আত্মহত্যার মত জঘন্য কর্ম সমাধা হয়। সে কারণে এটাকে “বজ্র আঁটুনি ফসকা গেড়ো” বলে।
আরো পড়ুন
কোরবানি পশুপ্রেম ও জনদরদ
মানুষ যখন নিজেই শয়তান হয়
বামপন্থার নেতিবাচকতা ও ইসলাম
কাঠবেড়ালী চঞ্চল, চৌকশ ও করিৎকর্মা। সামান্য একটি রসির উপর দিয়ে সে স্বাচ্ছন্দ্যে ছুটতে পারে। আহা বেচারা এমন অ-জায়গায় ফেঁসে যাবে, তা বুদ্ধিমান মানুষের ঘিলুতেও ধরবে না। যদিও চরম বুদ্ধিমান মানুষও “পচা শামুকে পা কাটার” মত নজীর রেখে যেতে দেখা যায়।
বাংলায় আরেকটি কথা রচিত আছে “ফাটা বাঁশের চিপায় বিছা আটকানো”। এটি এমন বিষয়কে বুঝায়, লজ্জার জ্বালায় প্রকাশ্যে সাহায্য চাইতেও পারে না, আবার ধৈর্য ধরে সহ্য করাও সম্ভবপর হয়না। কারো জীবনে এমন পরিস্থিতি আসলে, তার পক্ষে দুটোর কোনটাই গ্রহণ করা হয়না, অর্থাৎ তার পতন অবধারিত।
এমন বিপদ যখন আসন্ন হয়, তখন ব্যক্তি যতই শক্তিশালী হউক না কেন, তার সামান্য নড়াচড়াতেও বিপদ আর ব্যথা দুটোই বাড়তে থাকে। এমন ঠুনকো ও ফালতু বিষয়ে আটকা পড়ে ক্ষমতাবানেরা সর্বস্ব হারায়। যার কষ্টের কথা বলতেও পারে না, আবার সইতেও পারে না। উপরন্তু তরা জন্য কোন সাহায্যকারী তো থাকেই না বরং এমন ঘটনা উপভোগ করার জন্যে মানুষ তক্কে তক্কে থাকে।
Discussion about this post