দুনিয়াতে কেউ পেশাদারী ভিক্ষুক হয়ে জন্মায় না। জীবনের কোন এক অঘটনে কারো কাছে হাত পাততে বাধ্য হলে এবং আশানুরূপ ফলাফল আসলে তখন সে ভিক্ষাবৃত্তির দিকেই আগ্রহী হয়ে উঠে। অলসতা যখন ভিক্ষাবৃত্তির জন্মদাত্রী
আরো পড়তে পারেন…
- প্রতিষ্ঠিত হতে ব্যক্তিত্বের ভূমিকা
- চড়ুই পাখি নিধন ও ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ
- সহসা-সহজে কোটিপতি হবার ব্যবসা! (কান পেতে শোনা)
রিক্সা চালানো কষ্টকর কাজ, কুলি-মজুরের কাজ আরো কঠিন। আর যারা সারাদিন চাকুরী করে, মাসের শেষে বেতনের যে টাকাটা আসে; তা হাতে আসার আগেই খরচ হয়ে যায়। যার চাকুরী যত বড়, তার স্ট্যাটাসও ততো বড়, খরচের পরিধিও বড়।
একজন ভিক্ষুককে এসব সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়না। কষ্টকর কাজ, কুলি-মজুরের কঠিন শ্রম কিংবা মাসকাবারি চাকুরী! এগুলোর চেয়ে ভিক্ষাবৃত্তি অনেকটা সোজা। পুঁজি হিসেবে শুধু লজ্জা-শরমটা ফেলে দিতে হয়। কম-বেশী যাই পাক, নগদই হাতে আসে।
ভিক্ষুকের কাছে কোন স্ট্যাটাস নেই, তাই তার নিজস্ব কোন খরচও নেই। মানুষের করুণা আদায়ের জন্য তাকে সর্বদা নিকৃষ্ট পোশাক পড়ে চলতে হয়। এ কারণে ধীরে ধীরে তার জীবনে হীনমন্যতা গ্রাস করে এবং ভিক্ষা করাটা স্থায়ী অভ্যাসে পরিণত হয়।
সামাজিক সংঘটন যতই চেষ্টা করুক না কেন, নিতান্ত বিপদে পরে যারা ভিক্ষাবৃত্তি গ্রহণ করেছে, তারা ছাড়া পেশাদারী কাউকে সে পথ থেকে ফিরাতে পারে না। মানুষের জীবনে এই চরিত্রটি সৃষ্টি হয় অলসতা নামক বদ স্বভাবের কারণে।
Discussion about this post