Tipu vai
  • মুলপাতা
  • ধর্ম
    • ইসলাম
    • কোরআন
    • হাদিস
    • ডায়েরি
    • জীবনী
  • সাহিত্য
    • গল্প
    • রচনা
    • প্রবন্ধ
    • রম্য রচনা
    • সামাজিক
  • পরিবেশ
    • উদ্ভিদ জগত
    • প্রাণী জগত
    • ভেষজ হার্বাল
    • জলবায়ু
  • শিক্ষা
    • প্রাতিষ্ঠানিক
    • মৌলিক
    • ইতিহাস
    • বিজ্ঞান
    • ভ্রমণ
    • শিশু-কিশোর
  • বিবিধ
    • ঘরে-বাইরে
    • জীবন বৈচিত্র্য
    • প্রতিবেদন
    • রাজনীতি
    • তথ্যকণিকা
  • লেখক পরিচিতি
No Result
View All Result
নজরুল ইসলাম টিপু
  • মুলপাতা
  • ধর্ম
    • ইসলাম
    • কোরআন
    • হাদিস
    • ডায়েরি
    • জীবনী
  • সাহিত্য
    • গল্প
    • রচনা
    • প্রবন্ধ
    • রম্য রচনা
    • সামাজিক
  • পরিবেশ
    • উদ্ভিদ জগত
    • প্রাণী জগত
    • ভেষজ হার্বাল
    • জলবায়ু
  • শিক্ষা
    • প্রাতিষ্ঠানিক
    • মৌলিক
    • ইতিহাস
    • বিজ্ঞান
    • ভ্রমণ
    • শিশু-কিশোর
  • বিবিধ
    • ঘরে-বাইরে
    • জীবন বৈচিত্র্য
    • প্রতিবেদন
    • রাজনীতি
    • তথ্যকণিকা
  • লেখক পরিচিতি
No Result
View All Result
নজরুল ইসলাম টিপু
No Result
View All Result

ঘরে বাইরে ওভেনের ব্যবহার

ডিসেম্বর ৬, ২০২০
in বিজ্ঞান
1 min read
0
ওভেন

চুলা তন্দুর ওভেন

শেয়ার করুন
        

ওভেনের ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয় আলোচনার আগে, দুটো ভিন্ন বিষয় আগে বুঝে নেওয়া দরকার। আমরা সবাই চুলার গরম ও রৌদ্রের গরম সহজে পার্থক্য করতে পারি। দুটোই গরম কিন্তু প্রকৃতিগত ভাবে তফাৎ আছে। আমরা যদি বাসি তরকারি চুলায় গরম করে খাই, তা স্বাস্থ্য সম্মত হয় এবং আমরা সেভাবেই খাই, খাচ্ছি। ঘরে বাইরে ওভেনের ব্যবহার

আরব দেশে ভয়ঙ্কর গরম পড়ে। গরমের ভর দুপুরে পাথরের উপর পানি রেখে দিলে মুহূর্তেই শুকিয়ে যায়। পানির তাপমাত্রা এমন পর্যায়ে যায়, সেটা খালি হাতে ব্যবহার করা যায় না। অনেক সময় পানি ফুটতে থাকে। আচ্ছা ধরুন, এ ধরনের গরমের সময়ে যদি বাসি তরকারীর ডেকচিটি বাইরে রাখা হয়, তাহলে সেই তরকারীও বেজায় গরম হয়ে উঠবে। তাহলে এই গরম তরকারী দিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্য সম্মত হবে কিনা। উত্তর আসবে নিশ্চয়ই নয়। মাইক্রোওয়েভ ওভেনের গরমটা অনেকটা এ ধরনেরই। হুবহু এটার মত না তবে রাসায়নিক বিক্রিয়ার কাজটা প্রায় এটার মতই হয়ে থাকে। চলুন দু’প্রকার ওভেনের কার্যকারিতা নিয়ে তুলনামূলক আলোচনা দেখি।

আরো পড়তে পারেন,

  • নানাবিধ ওভেন ও তার পরিচিতি
  • মারুলা ফল প্রকৃতিকে করে পাগল
  • স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পাখির দৃষ্টান্ত ও নামাজের দুনিয়াবি উপকার

ওভেনের কারিগরি কার্যক্ষমতা:
– এক গ্লাস পানি গরম করতে ইলেকট্রিক ওভেনে বিশ মিনিট লাগতে পারে কিন্তু মাইক্রোওয়েভ ওভেনে তা এক মিনিটে হয়ে যায়।
– এক কেজি ঠাণ্ডা ভাত গরম করতে ইলেকট্রিক ওভেনে ত্রিশ মিনিট লাগতে পারে কিন্তু মাইক্রোওয়েভে মাত্র তিন মিনিট লাগতে পারে।
– ফ্রিজ থেকে বের করা এক বাটি ঠাণ্ডা তরকারী ইলেকট্রিক ওভেনে গরম করতে চল্লিশ মিনিট লাগতে পারে কিন্তু মাইক্রোওয়েভে লাগবে চার মিনিট।

তাহলে তো প্রশ্ন আসবেই, ইলেকট্রিক ওভেনের দরকার কি?

এর সরাসরি উত্তর হল, প্রতিটি ওভেনের কার্যক্রম ভিন্ন। ভিন্নতাকে সামনে রেখেই ওভেন বানানো হয়েছে। সব ওভেনের সাহায্যে গরম করা যায় কিন্তু কোন ওভেনেই কিছু ফ্রাই করা যায় না! সে জন্য বানানো হয়েছে আরেকটি মেশিন, যার নাম Fryer. ঘরে বাইরে ওভেনের ব্যবহার

ওভেনের আভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্য

– ইলেকট্রিক ওভেনের ভিতরটা গরম হতে যেমন সময় লাগে, তেমনি ঠাণ্ডা হতেও সময় লাগে। ফলে গরম করার জন্যই দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ কিংবা গ্যাস জ্বালাতে হয়। এটার কার্যকারিতা ঠিক বেকারির তন্দুরের মতই। তন্দুরের লাকড়িতে আগুন লাগিয়ে কিংবা গ্যাস জ্বালিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে গরম করতে হয়। অতঃপর তন্দুরে বিস্কিট, কেক, পাউরুটি ঢুকিয়ে রাখলে একটা নির্দিষ্ট সময়ে তা পরিপক্ব হয়। ইলেকট্রিক ওভেন কিংবা গ্যাসীয় ওভেনের কাজও একই। পিৎজা বানাতে কিংবা চিজ সম্পর্কিত খাদ্য প্রস্তুতে এসব ওভেনের ব্যবহার হয়। মাছ-মাংসের গ্রিলের জন্য খুবই প্রসিদ্ধ। বাণিজ্যিক ভাবে দই বানানোর জন্যও এসব ওভেনের একই পদ্ধতি কার্যকরী। যদিও আমাদের দেশে মাটির বিরাটকায় গর্তে আগুন জ্বালিয়ে সেটাকে গরম করেই দই বসানো হয়।

– মাইক্রোওয়েভের ভিতরটা যতই গরম হউক না কেন, ওভেনের দেহ তেমন একটা গরম হয়না। কিছু গরম হলেও দরজা খোলার পরপরই তা স্বাভাবিক হয়ে যায়। এটা চালু হলে, ভিতরের তাপমাত্রা সেকেন্ডে সেকেন্ডে পরিবর্তন হয়ে। ফলে ভিতরে রাখা জিনিষ গরম হয়ে যায়। বাহির থেকে তা অনুভব করা যায় না। এটাতে বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় খুবই কম পরিমাণ। এই ওভেনে বিস্কিট, কেক, পাউরুটি, দই, পিৎজা বানানো যায় না, এমনকি মাংসের গ্রিল ও হয় না। তবে মাত্র চল্লিশ সেকেন্ড সময়েই খুব গরম করা যায়। এই ওভেনে পানি সহসা গরম হয় বলে, তরল ও ভিজা জাতীয় জিনিষের জন্য খুবই উপযোগী। কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে কোন কিছু দ্রুত গরম করার জন্য এই ওভেনের জুড়ি নেই। তাই সারা দুনিয়াতে এটার কদর বেশী। আমাদের দেশেও সকল পরিবারে সর্বোচ্চ চাহিদা মাইক্রোওয়েভ কে ঘিরেই।

জলবায়ুর প্রভাবে আমাদের দেশের মানুষের কাছে ঝাল একটু বেশীই প্রিয়। পিয়াজি, বেগুনী, সিঙ্গারা, সমুচা, ঝাল নুডুলস, ডিম পরোটা, চনাবুট ভাজি, ডাল পুরি ইত্যাদি খুবই প্রিয়। এসব জিনিষ গরম খেতে হয়, বাসি হলেই ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে। এসব নাস্তা একবার বাসী হলে, পুনরায় জাত করা সম্ভব নয়। যেমন পিয়াজি, সমুচা, সিঙ্গারার কথাই বলি, পুনরায় গরম তেলে দিলে বাহিরের চামড়া তৈলে সিক্ত হয়ে মুড়মুড়ে হবে কিন্তু ভিতরের বস্তুতে গরম যথাযথ গরম পৌছবে না। ফলে সেটা বিষাক্তই থেকে যায়। কিন্তু মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করলে মাত্র ত্রিশ সেকেন্ড সময় লাগে। ফলে দোকান গুলোতে এটার ব্যবহার দিনে দিনে বাড়ছে। এই পদ্ধতিতে পুরোটাই গরম হবে বটে কিন্তু ব্যাকটেরিয়ার কোন ক্ষতি হয়না। অর্থাৎ নষ্ট মাল গরম করার মত দশা। ঘরে বাইরে ওভেনের ব্যবহার

মানুষ যদি অসতর্ক হয় কিংবা যাদের জীবন ওভেন নির্ভর হয়ে পড়েছে, তারা যদি হুশিয়ার না হয়, তাহলে নানাবিধ রোগের বিস্তার ঘটাবে তাদের পরিবারে। ডাক্তার দেখিয়েও এটার সুরাহা করা যায় না। যতক্ষণ ঔষধ খাওয়া হয় ততক্ষণ ভাল লাগে, বন্ধ করে সমস্যা আগের মতই। কেননা অনেকেই জানেনা তাদের এই রোগের মূল উৎস হল তাদের মাইক্রোওয়েভ ওভেনটাই। চলুন কথা না বাড়িয়ে কিছু ঘটনাচক্রের সাথে পরিচিত হই।

কেস নম্বর-১
কোম্পানির একাউন্ট সাহেব সর্বদা পেট চেপে ধরে অফিস করেন। সপ্তাহের শুরুতেই তার এই ব্যথার প্রকোপ হয়। প্রশ্ন করাতে তিনি বললেন, “প্রতি বৃহস্পতিবারেই তো বসের বাসায় যেতে হয়। বসের সাথেই খানাপিনা চলে। কি জানি তারা কি দিয়ে রান্না করে! বলতেও পারিনা আপনার বাসায় খাব না, খেলেও বিপদ বাড়ে। বাসায় পৌছার আগেই পেটের ব্যথা শুরু হয়, তারপর পিচ্ছিল পায়খানা। কি তাজ্জব! শুধু শুক্রবারেই এই রোগের প্রকোপ, তাই বউয়ের ঘেন ঘেন! শনিবারে একটু ভাল লাগে অফিস করি। ভাই, এটা আমার সাপ্তাহিক রোগ।

আসল ঘটনা, তিনি চিংড়ি, মাছ, মাংস ভুনা খুব পছন্দ করেন। বিকাল বেলাতেই তিনি বসের বাসায় যান। ঘরের চাকরানী ভাজি করা জিনিষ যথাযথ ঠাণ্ডা হবার আগে তা ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখে এবং কিছুটা উষ্ণতা থাকার কারণে সে সব আবার বের করে গরম করা ছাড়াই পরিবেশন করে। এটাতেই ওনার আমাশয়ের ভাব উঠে। বাহ্যত তরকারী দেখতে গরম ও সতেজ মনে হলেও ওগুলো ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত অবস্থায় থাকে।

কেস নম্বর-২
ভদ্রলোক ও গৃহিণী উভয়ই অতিথিপরায়ণ। শুক্রবারে অনেক অতিথি আসবে। তাই মঙ্গলবার থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেন। সুযোগ মত রান্না করে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখেন। কাবাব, কোর্মা, মাংস ভুনা, মাছ ফ্রাই আরো কত কি! মেহমান আসার পরে সকল খাদ্য ফ্রিজ থেকে বের করে, ওভেনে গরম করে পরিবেশন করা হল। এতে বেশীর ভাগ মেহমানের পেটের পীড়া দেখা দেয়। অসুস্থতার খবর শোনার পরও ভদ্রমহিলা জানালেন, তারা যে দোকান থেকে বাজার করে, সে দোকানদার সৎ মানুষ, তারা খাদ্যে ভেজাল মেশায় না।

আসল ব্যাপার হল, ফ্রিজ থেকে বের করা খাদ্য অবশ্যই চুলার আগুনে গরম করতে হবে। তিনি এটা করেন নি। আধুনিক সরঞ্জাম হিসেবে মাইক্রোওয়েভ ওভেন আছে। আবার আইটেম গুলো চুলায় গরম করা সময় সাপেক্ষ বলে তিনি এই গরমের কাজটি মাইক্রোওয়েভ ওভেনের মাধ্যমে সেরে নিলেন। এতে তরকারীর তাজা ঘ্রাণ থাকল বটে কিন্তু এই বাসী তরকারীর ব্যাকটেরিয়া জীবাণু সবাইকে আক্রান্ত করেছে। মাইক্রোওয়েভের তাপে ব্যাকটেরিয়া মরে না।

কেস নম্বর-৩
সাহেবের পেটের ব্যথা কোনমতে যায় না। তার উপর যোগ হয়েছে পাতলা পিচ্ছিল পায়খানা। ঘরণী শতভাগ নিশ্চিত তার রান্না করা খাদ্যে কোন দুর্বলতা ছিলনা। সাহেব তো সুস্থ হয় নাই অধিকন্তু দু’দিন পরে ম্যাডামের পেটের ব্যথা শুরু হয়! ভাবলেন, খাদ্যে কোন সমস্যা আছে। তাই সমুদয় কাঁচা বাজার, মাছ গোশত, মসল্লা পরিবর্তন করে আবার নতুন করে বাজার করলেন। কিছুতে কিছুই হল না, দুই দিন পরে ছেলেও বলে, তার পেটে ব্যথা শুরু হয়েছে। ডাক্তার ঔষধ দেবার পরে পায়খানাটা একটু ঠিক হয় বটে, পরিপূর্ণ ব্যথা সাড়ার কোন লক্ষণ নাই।

মূল ঘটনা হল, তারা নতুন কোম্পানির ব্যাপক বিজ্ঞাপন প্রচারণা দেখে, ভেজিটেবল ভোজ্য তৈল ঘরে এনেছিলেন। আসলে ভেজিটেবল তৈলের আড়ালে এসব হল ‘পাম’ তৈল। আগে পাম অয়েল দিয়ে শুধু সাবান বানানো হত। বিজ্ঞানের পরিবর্তিত যুগে এখন পাম তৈলকে খাবার টেবিলে আনতে সক্ষম হয়েছে। এ তৈল পরিবর্তন, পরিশোধন করে নতুন নাম ভেজিটেবল লাগিয়ে মানুষকে খাওয়ানো হচ্ছে। বানানো হচ্ছে কনডেন্সড মিল্ক। এই তৈল দুর্বল মানুষের পেট হজম করতে পারেনা। একটু বাসী হলেই তৈল চর্বির মত জমাট বেধে যায়। পরবর্তীতে এই পরিবার তৈল বদলিয়ে ফেলে। এতে করে রোগ ভাল হয়ে যায়।

কেস নম্বর-৪
দেশে গিয়ে নিজেই সস্ত্রীক বাহারি ফাস্টফুডের দোকানে মেহমান নিয়ে ঢুকেছিলাম। বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন রোল, চিকেন সমুচা আরো কত কি? ভিন দেশে সারা জীবন ভর এসব খেয়েই ত্যক্ত বিরক্ত হয়েছিলাম। তাই চোখ গেল সমুচা সিঙ্গারার দিকে। মেহমানের পছন্দ বার্গার। তিনি বার্গারে কামড় দিতেই সেই পরিচিত বাসি ঘ্রাণ পেলাম। তাই প্রশ্ন করলাম এসব কবেকার? বললেন, সকালের। অর্থাৎ চার ঘণ্টা আগের। বিদ্যুতের ভাল্বের গরমের মাধ্যমে উষ্ণ রাখা হয়েছে। ততক্ষণে মেহমানের বার্গার শেষ! সমুচাটা কেমন জানি বিস্বাদ! খাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই উভয়ে অসুস্থ হয়ে গেলাম। পরবর্তীতে একই এলাকায় কয়েকটি দোকানের কার্যক্রম লক্ষ্য রাখার সুযোগ হয়।

আসল ঘটনা ছিল, বিকাল বেলা অবধি যেসব সমুচা, সিঙ্গারা বিক্রি হয়নি। তা ফ্রিজে ঢুকানো হয়েছিল। সকাল দশটার দিকে সে সব বের করে গরম তেলে আবারো ভাজা হয়। উত্তপ্ত তেল এসব সমুচা-সিঙ্গারার চামড়াকে তপ্ত করতে পেরেছিল কিন্তু ভিতরের মাল-মসল্লার গায়ে গরমই লাগেনি। এসব বাসি হয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তার উপর কতদিনের পুরানো তেল, কিসের তেল এই প্রশ্ন-তো ছিলই। দোকানদারের কথাও ঠিক, সে সকালেই এসব গরম করেছে, জনগণ দেখেছে, সুতরাং জিনিষগুলো ফ্রেশ!

নিশ্চয়ই এসব ঘটনা বাংলাদেশের জীবনে নতুন কোন কাহিনী নয়। সবাই দেখতে অভ্যস্ত। কিন্তু এ ধরনের খাদ্য আমাশয় রোগ তো তৈরি করে অধিকন্তু কোলন ক্যান্সারের কারণ হচ্ছে। গত কয়েক বছরে আমার জানা শোনা এবং আত্মীয় কোলন ক্যান্সারে মারা গেছে। আরো কয়েকজন অসুস্থ আছে। তাদের এই রোগ কেন হয়েছে জানিনা তবে তাদের সকলের কাছে তৈলাক্ত বাসি খানা খাওয়ার অভ্যাস ছিল!

চুলা ও মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম হবার প্রকারভেদ:

ধরুন চুলার কড়াইয়ে এক টুকরা মাংস টুকরা রাখলেন। মাংস টুকরা প্রথমে বাহিরের চারিদিকে গরম হতে থাকবে এবং আস্তে আস্তে গরম ভিতরের দিকে ঢুকতে থাকবে। এভাবে মসল্লার রসও ভিতরের দিকে ঢুকে পড়বে। এর ফলে ভিতরের চেয়ে, বাহিরের চামড়া বেশী গরম হবে এবং পুড়ে যাবে। ব্যাকটেরিয়া সাধারণত মাংসের বাহিরের আবরণেই আক্রমণ করে। আর চুলার আগুনের তাপও প্রথমে বাহিরে লাগে। সে কারণে চুলার আগুন ব্যাকটেরিয়া রোধে অনেক বেশী সহায়ক। ইলেকট্রিক কিংবা গ্যাস ওভেনের বেলাতেও মাংস পিণ্ড বাহির থেকেই গরম হবে থাকে।

মাইক্রোওয়েভে ঘটে তার উল্টোটা। এই গরম রেডিয়েশনের মাধ্যমে ঘটে থাকে। ফলে প্রথমে গরম শুরু হবে মাংস টুকরার একদম ভিতর থেকে। ভিতর থেকে গরম বাহিরের দিকে আসতে থাকবে। কেউ দেখল মাইক্রোওয়েভে জিনিষ ঢুকানো হয়েছে কিন্তু ভাল করে গরম হয়নি। কামড় দিলে বুঝা যাবে ভিতরে জিনিষটি ভয়ঙ্কর গরম হয়ে আছে অথচ বাহিরে দিকে তেমন গরম নয়। ব্যাকটেরিয়া মরে প্রবল তাপ ও চাপের দ্বারা। যেহেতু মাইক্রোওভেবে বাহিরের চেয়ে ভিতরে গরম থাকে বেশী তাই ব্যাকটেরিয়ার বেঁচে যাবার সুযোগও থাকে বেশী।

সিদ্ধ ডিম একটি ছোট্ট পরীক্ষা করতে পারি। সিদ্ধ ডিম যদি ইলেকট্রিক ওভেন, গ্যাসীয় ওভেন কিংবা চুলার উপরের ডেকচিতে রাখা হয়, তাহলে দেখা যাবে ডিমের চামড়া আগে পুড়ে যাচ্ছে। মাইক্রোওয়েভে দিলে দেখা যাবে, সিদ্ধ ডিমটি তিন মিনিটের মধ্যেই বোমার মত বিস্ফোরিত হল! কারণ ভিরতের অংশ গরম হয়ে বাহিরে তাপ বেরুতে পারে নি। তাই বিষ্ফোরিত হয়েছে। হাত দিয়ে দেখুন, ডিমের কুসুম যত গরম হল, সাদা অংশ তার চেয়েও ঠাণ্ডা। ভয়ের কারণ নেই, ডিম বিস্ফোরণের চরম দুর্ঘটনার সম্ভাবনা নেই। তবে ওভেনটিকে ভাল করে পরিষ্কার করতে হয়ত, লম্বা সময় ব্যয় করতে হবে।

উপসংহারে যে কথা বলা যায়, মাইক্রোওয়েভ ওভেনে তৈল, চর্বি, প্রোটিন জাতীয় খাদ্য গরম করে না খাওয়াই উত্তম ও নিরাপদ।

Tags: বিবিধ
Previous Post

নানাবিধ ওভেনের পরিচিতি

Next Post

প্রজ্ঞা Wisdom মানুষের শ্রেষ্ঠতম গুন

Discussion about this post

নতুন লেখা

  • চিকিৎসায় মৌমাছির হুল ফুটানো ভাল-মন্দ দিক
  • PR পদ্ধতির নির্বাচন হলে ঝুলন্ত সংসদ হবে না
  • গরু-ছাগল মাদীর প্রানীর মুত্রের ঘ্রাণ নিয়ে নাক উল্টানোর কারণ
  • বিপদ আর আপদ এর পার্থক্য
  • আবদুল মালেক! ধর্মনিরপেক্ষতার মূল খিলান ধরে টান মেরেছিলেন

এই সপ্তাহের জনপ্রিয় লেখা

No Content Available

নজরুল ইসলাম টিপু

লেখক পরিচিতি । গাছের ছায়া । DraftingCare

Facebook Twitter Linkedin
© 2020 Nazrul Islam Tipu. Developed by Al-Mamun.
No Result
View All Result
  • মুলপাতা
  • ধর্ম
    • ইসলাম
    • কোরআন
    • হাদিস
    • ডায়েরি
    • জীবনী
  • সাহিত্য
    • গল্প
    • রচনা
    • প্রবন্ধ
    • রম্য রচনা
    • সামাজিক
  • পরিবেশ
    • উদ্ভিদ জগত
    • প্রাণী জগত
    • ভেষজ হার্বাল
    • জলবায়ু
  • শিক্ষা
    • প্রাতিষ্ঠানিক
    • মৌলিক
    • ইতিহাস
    • বিজ্ঞান
    • ভ্রমণ
    • শিশু-কিশোর
  • বিবিধ
    • ঘরে-বাইরে
    • জীবন বৈচিত্র্য
    • প্রতিবেদন
    • রাজনীতি
    • তথ্যকণিকা
  • লেখক পরিচিতি

© 2020 Nazrul Islam Tipu. Developed by Al-Mamun.